ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ PDF
Dear Student,
আজকের পোস্টে ভূগোল বিষয়ের একটি Important টপিক ভারতের বনভূমি এর একটি সাব-টপিক হিসাবে ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ PDF টি Share করলাম। যেটিতে ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদের শ্রেণীবিভাগ, বৈশিষ্ট্য, জলবায়ু, প্রধান উদ্ভিদ, অঞ্চল, ব্যবহার প্রভৃতি সমস্ত কিছু দেওয়া আছে।
So, সময় অপচয় না করে ভূগোলের এই গুরুত্বপূর্ণ নোট টি দেখে নাও এবং অফলাইনে যখন খুশি পড়ার জন্য নোটটির পিডিএফ ফাইলটি Download করে নাও।
ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ PDF Download
File Details:
File Name - ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ PDF
Format - PDF
File Size - 591KB
File Location - Google Drive
Click Here To Download ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ PDF
ভারতের স্বাভাবিক উদ্ভিদ লিস্ট
০১. চিরহরিৎ অরণ্যঃ
যে সমস্ত অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২০০ সেন্টিমিটারের বেশি এবং তাপমাত্রা যথেষ্ট তীব্র, সেইসব অঞ্চলে চিরহরিৎ বা চিরসবুজ অরণ্য দেখা যায়। এই সমস্ত অঞ্চলের গাছগুলির পাতা বছরের কোন সময়েই পত্রহীন হয়না এবং সারাবছর ঘন সবুজ পাতায় ঢাকা থাকে, তাই এই অরণ্যের নাম হয়েছে চিরহরিৎ বা চিরসবুজ অরণ্য।
■ অঞ্চলঃ
পশ্চিমঘাট পর্বতের পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-পূর্ব পার্বত্য অঞ্চল, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত তরাই ও ডুয়ার্স অঞ্চল।
■ প্রধান উদ্ভিদঃ
রোজউড, মেহগিনি, গর্জন, নিম, পলাশ, সেগুন, শিশু, রবার, বাঁশ, চাপলাস প্রভৃতি।
■ বৈশিষ্ট্যঃ
বনভূমি খুবই ঘন হয়,
গাছগুলির উচ্চতা ৪০-৬০ মিটার কিংবা তারও বেশি হয়ে থাকে,
সারাবছর সবুজ পাতায় আবৃত থাকে,
গাছগুলির পাতাগুলি বৃহৎ ও লম্বা হয়।
■ ব্যবহারঃ
রেলওয়ে স্লিপার, বাড়ির আসবাবপত্র, সেতু নির্মাণ, গৃহ নির্মাণ প্রভৃতি কাজে এই কাঠ ব্যবহার করা হয়।
০২. আর্দ্র পর্ণমোচী অরণ্যঃ
যে সমস্ত অঞ্চলে বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১০০ থেকে ২০০ সেন্টিমিটার এবং গড় উষ্ণতা ২৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, সেইসব অঞ্চলে আর্দ্র পর্ণমোচী অরণ্য দেখতে পাওয়া যায়।
■ অঞ্চলঃ
পশ্চিমবঙ্গ সমভূমি ও মালভূমি এলাকা, ওড়িশার মালভূমি ও উপকূলভাগ, পশ্চিমঘাট পর্বতমালার পূর্বঢাল, তামিলনাড়ুর উপকূল।
■ প্রধান উদ্ভিদঃ
শাল, সেগুন, শিরীষ, পলাশ, আবলুশ, অর্জুন, চন্দন, মহুয়া, আম, জাম প্রভৃতি।
■ বৈশিষ্ট্যঃ
বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে এই বনভূমির গাছের পাতা ঝরে যায় বলে, এই প্রকারের বনভূমিকে পর্ণমোচী বনভূমি বলা হয়।
চিরহরিৎ ও পর্ণমোচী উভয় প্রকার গাছই এখানে জন্মায় বলে, এই অরণ্যকে মৌসুমি মিশ্র অরণ্য বলা হয়ে থাকে।
গাছের উচ্চতা ২৫ থেকে ৬০ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
■ ব্যবহারঃ
আসবাবপত্র, রেলওয়ে স্লিপার, নৌকা তৈরি প্রভৃতি কাজে এই কাঠ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
০৩. শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্যঃ
যেখানে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৫০ থেকে ১০০ সেন্টিমিটার এবং গড় উষ্ণতা ২৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, সেখানে শুষ্ক পর্ণমোচী অরণ্য দেখতে পাওয়া যায়।
■ অঞ্চলঃ
দাক্ষিণাত্যের মধ্যভাগ, রাজস্থানের দক্ষিণ-পূর্বাংশ, পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ।
■ প্রধান উদ্ভিদঃ
হাতি ঘাস, সাবাই ঘাস, শরচাপড়া ঘাস, কুল, বেল, শাল প্রভৃতি।
■ বৈশিষ্ট্যঃ
শীতকালে এই উদ্ভিদগুলির পাতা ঝরে যায়,
এই ধরনের গাছগুলির উচ্চতা ১০-১৫ মিটার হয়ে থাকে,
ভারতে শুষ্ক পর্ণমোচী বনশ্রেনি সর্বাধিক আয়তন অধিকার করে আছে,
এখানে পর্ণমোচী বৃক্ষযুক্ত দীর্ঘ ঘাসের তৃণভূমি দেখা যায়, তাই এই অঞ্চল সাভানা নামে পরিচিত।
■ ব্যবহারঃ
ধূপ, ধুনো, আসবাবপত্র প্রভৃতি কাজে।
০৪. ক্রান্তীয় মরু ও গুল্মজাতীয় উদ্ভিদঃ
গড় বৃষ্টিপাত ৫০ সেন্টিমিটারেরও কম, তাপমাত্রা ২৫ থেকে ৩০ সেন্টিগ্রেড এবং স্বল্প আর্দ্রতা যুক্ত অঞ্চলে এই বনভূমি দেখতে পাওয়া যায়।
■ অঞ্চলঃ
ভারতের উত্তর-পশ্চিম অংশ, পাঞ্জাবের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, রাজস্থানের থর মরুভূমি, পশ্চিম হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ।
■ প্রধান উদ্ভিদঃ
বাবলা, খেজুর, ক্যাকটাস, তাল প্রভৃতি।
■ বৈশিষ্ট্যঃ
এই সমস্ত উদ্ভিদে বাষ্পীভবন রোধ করার জন্য পাতা কাঁটায় রূপান্তরিত হয়,
এই সমস্ত উদ্ভিদের পাতা খুবই ছোট অথবা পত্রহীন,
এই অঞ্চলে পশুপালন করা হয়,
এই সমস্ত গাছের শিকড় মাটির গভীর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়।
■ ব্যবহারঃ
এই গাছের কাঠ সর্বাধিক ব্যবহৃত হয় জ্বালানী হিসাবে।
০৫. পার্বত্য অরণ্যঃ
বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ৭৫ থেকে ১২৫ সেন্টিমিটার ও তাপমাত্রা ১০ থেকে ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড যুক্ত অঞ্চল এই অরণ্য দেখতে পাওয়া যায়।
■ অঞ্চলঃ
দক্ষিণ ভারত ও হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল।
■ প্রধান উদ্ভিদঃ
দেবদারু, ওক, অলিভ, ফার, স্কুস, জুনিয়ার, পাইন, ম্যাপল প্রভৃতি।
০৬. ম্যানগ্রোভ অরণ্যঃ
সমুদ্র উপকূলে, বিশেষ করে নদীর বদ্বীপে যেসব স্থান জোয়ারের সময় সমুদ্রের জলে প্লাবিত হয়, সেই স্থানে শ্বাসমূলযুক্ত বৃক্ষ জন্মাতে দেখা যায়। এই প্রকার শ্বাসমূলযুক্ত বৃক্ষকে ম্যানগ্রোভ বৃক্ষ বলে।
■ অঞ্চলঃ
মহানদী, গোদাবরী ও কৃষ্ণা নদীর বদ্বীপ, পশ্চিমবঙ্গের সুন্দরবন, গুজরাট, আন্দমান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ।
■ প্রধান উদ্ভিদঃ
সুন্দরী, পাইন, গরান, গেঁওয়া প্রভৃতি।
■ বৈশিষ্ট্যঃ
এই উদ্ভিদগুলি সারাবছর চিরসবুজ থাকে এবং এই উদ্ভিদের শ্বাসমূল, ঠেসমূল ও অধিমূল দেখা যায়।
■ ব্যবহারঃ
গরুর গাড়ির চাকা, লাঙল, আসবাবপত্র, জ্বালানী প্রভৃতি কাজে ব্যবহার করা হয়।
০৭. সরলবর্গীয় অরণ্যঃ
উত্তর গোলার্ধে ৫০ থেকে ৭০ ডিগ্রি অক্ষরেখার মধ্যে যে বিশেষ ধরনের বনভূমির সৃষ্টি হয়েছে, তাকে সরলবর্গীয় বনভূমি বলা হয়।
■ অঞ্চলঃ
পূর্ব হিমালয়ে ২৫০০ থেকে ৪০০০ মিটার উচ্চতায় এবং পশ্চিম হিমালয়ের ২০০০ থেকে ৩২০০ মিটার উচ্চতায়।
■ প্রধান উদ্ভিদঃ
পাইন, ফার, দেবদারু প্রভৃতি।
■ বৈশিষ্ট্যঃ
এই বনভূমির কাঠ খুব নরম ও হালকা হয়,
এখানকার গাছগুলির আকৃতি মোচার মতো,
এই অরণ্যের গাছগুলি একেবারে সোজা ও সরলভাবে দাঁড়িয়ে থাকে বলে এদের সরলবর্গীয় উদ্ভিদ বা সরলবর্গীয় বৃক্ষ বলে।
■ ব্যবহারঃ
প্যাকিং বাক্স, দেশলাই কাঠি, কাগজ প্রভৃতি প্রস্তুত করতে ব্যবহৃত হয়।
আমাদের এই পোস্ট টি পড়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, পোস্ট টি যদি ভালো লাগে তাহলে অব্যশই এটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন ও আমাদের কমেন্ট করে জানান।
0 Comments