রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনুচ্ছেদ রচনা

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অনুচ্ছেদ রচনা

ভূমিকা : 

রবীন্দ্রনাথ শুধু বাঙালির নয় সমগ্র ভারতবাসীর গৌরব। সাহিত্য সৃষ্টিতে সারা বিশ্বে তাঁর মতো প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন খুব কমই ব্যক্তি। সেজন্য তাঁকে ‘বিশ্বকবি' আখ্যা দেওয়া হয়েছে। জন্ম ও বাল্যকাল : ১২৬৮ বঙ্গাব্দের ২৫ বৈশাখ। তিনি কলিকাতার জোড়াসাঁকোর বিখ্যাত ঠাকুর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছ'বছর বয়সে তিনি বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। কিন্তু বিদ্যালয়ে তিনি বেশী দিন লেখাপড়া করেননি। গৃহশিক্ষকের কাছে বাড়িতে বাংলা, সংস্কৃত, ইংরেজি, বিজ্ঞান, ভূগোল, ইতিহাস প্রভৃতি নানা বিষয়ে পড়াশোনা শেখেন। খুব ছোটোবেলা থেকেই তিনি কবিতা, ছড়া, গল্প ইত্যাদিও রচনা করতে থাকেন। বাড়ির লোকও তাঁকে এ বিষয়ে উৎসাহিত করেন। 

সাহিত্য প্রতিভা : 

সাহিত্যের সকল বিষয়ে তিনি পারদর্শী ছিলেন। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, প্রবন্ধ প্রভৃতি সকল বিষয়েই তিনি ছিলেন পারদর্শী। তাঁর লেখা গান রবীন্দ্র সংগীত নামে পরিচিত। তিনি গীতাঞ্জলী' নামে একটি কবিতার বই লিখে আবার সেটি নিজে ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। এই বইটির জন্য ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিশ্বসর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার নোবেল পুরস্কার পান। এই পুরস্কার পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বে তাঁর নাম ছড়িয়ে পড়ে।

শান্তির দূত : 

তিনি বহুবার ভারতের বাহিরে বিভিন্ন দেশে যান। ইউরোপ, আমেরিকা, জাপান প্রভৃতি দেশে তিনি শান্তির বাণী প্রচার করেন। তাঁর গল্প, কবিতায় তীব্র দেশপ্রেমের সুর নিহিত ছিল। তাঁর শ্রেষ্ঠ কীর্তির মধ্যে তিনি শান্তিনিকেতনে একটি আদর্শ বিদ্যালয় গড়ে তোলেন। এই বিদ্যালয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত হয়েছে।

মৃত্যু : 

রবীন্দ্রনাথের ৮০ বছর বয়সে ১৯৪১ খ্রিস্টাব্দে (বাংলা ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮) মৃত্যু হয়। প্রতি বছর আমাদের দেশে তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে ২৫ বৈশাখ তাঁর জন্ম-জয়ন্তী পালন করা হয়।

Post a Comment

0 Comments