মহরম অনুচ্ছেদ রচনা

মহরম অনুচ্ছেদ রচনা

ভূমিকা : 

মুসলমানদের বিভিন্ন পরবের মধ্যে মহরম একটি তাৎপর্যপূর্ণ উৎসব। এই উৎসব দশদিন ধরে পালন করা হয়। মুসলমান পঞ্জিকাতে একটি মাসের নাম মহরম। এই মাসটি মুসলমানদের কাছে খুবই পবিত্র। মাসের নাম অনুসারে পরবটির নাম হয়েছে মহরম। 

ইতিহাস : 

ইসলাম ধর্ম মুসলমানদের ধর্ম। ইহার প্রবর্তক হলেন হজরত মহম্মদ। হজরতের কোনো পুত্র সন্তান ছিল না। কেবল মাত্র ফতিমা নামে একটি মেয়ে ছিল । আলি নামে একজন বিখ্যাত লোকের সঙ্গে ফতিমার বিয়ে হয়। ফতিমার দুই ছেলে হাসান ও হোসেন। মহম্মদের মৃত্যুর পর মুসলমান সমাজের সর্বপ্রধান নেতৃত্ব খলিফার পদ নিয়ে দামাস্কাসের রাজা এজিদের সঙ্গে ফতিমার দুই পুত্র হাসান ও হোসেনের ঝগড়া বাদে। এজিদ কৌশলে হাসানকে বিষ খাইয়ে মেরে ফেলে। হাসানের ভাই হোসেন পালিয়ে গিয়ে সৈন্য সামন্ত সংগ্রহ করে খলিফার সঙ্গে বহুদিন ধরে যুদ্ধ করেন। শেষে ইউফ্রেটিস নদীর ধারে কারবালা নামে এক মরুভূমিতে এজিদের সৈন্যদল হোসেনকে আক্রমণ করে এবং তাকে আটকে রাখেন। কারবালা মরুভূমিতে দশদিন যাবৎ আটক থাকাকালীন হোসেন এবং তার সৈন্যরা ক্ষুধায় তৃয়ায় খুবই কাতর হয়ে পড়েন। দশদিন এই অবস্থায় থাকার পর হোসেন ও তার সৈন্যদল এজিদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গেলে তাদের সৈন্যদের হাতে নিষ্ঠুরভাবে মারা যান।

বর্ণনা : 

কারবালার মরুভূমির মাঠে যে শোচনীয় ঘটনা ঘটল, তা মুসলমানেরা চিরদিন মনে রাখার জন্য এই মহরম পালন করে থাকে। এই সময় তারা হোসেনের নকল কবর বা তাজিয়া তৈরী করে এই মহাপুরুষের আত্মার শান্তির জন্য কোরাণ পাঠ করে। বহু সমর্থক লাঠি, বর্শা, তলোয়ার প্রভৃতির সাহায্যে নানান ধরনের খেলা দেখিয়ে থাকে। পরবের দশদিনের দিন একটি বিরাট মিছিল বের হয়। মিছিলের সাথে সাথে মুসলমানেরা ‘হায় হাসান’, ‘হায় হোসেন' করতে করতে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে মিছিলে সাথে চলতে থাকে।

উপসংহার : 

মহরম হল বিষাদের পরব।

Post a Comment

0 Comments